কুয়াশা ও রক্তভেজা ঘাস
এই বছরের মতো ২০১৫ সালের ২০ জানুয়ারি দেশে শৈত্যপ্রবাহ ছিল। এমন এক কনকনে শীতের ভোরে খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামন জনির গুলিবিদ্ধ মৃতদেহটি পড়ে ছিল। আগের দিন ১৯ জানুয়ারি তাকে রাজধানীর নাজিমুদ্দিন রোড থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই দিন সকালে স্ত্রী মুনিরা পারভীন মণিষার সঙ্গে কথা বলেন জনি। তখন তিনি ধানমন্ডিতে অবস্থান করছিলেন। ফোনে তিনি জানান, একজনকে দেখতে জেলগেইটে (পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগার-এর প্রধান ফটক) যেতে পারেন। জেলগেইট থেকে ফিরেই মিরপুরে খালার বাসায় বেড়াতে যাবেন স্ত্রীকে নিয়ে। স্ত্রী মণিষা তখন সাত মাসের অন্তঃসত্বা। মণিষাকে ফোনে জনি বলেছিলেন গোসল করে নতুন কেনা শাড়িটা পরে রেডি হয়ে থাকতে। তিনি বাসায় ফিরেই মণিষাকে নিয়ে দ্রুত বেরিয়ে পড়বেন। স্বামীর কথামতো মণিষা নতুন কেনা শাড়িটা পরে দুপুর ১২টা থেকেই অপেক্ষা করতে থাকেন আর মোবাইল ফোনে কল দিতে থাকেন। ফোন ঢুকলেও রিসিভ হচ্ছিল না। দুপুর ২টার দিকে জনির মোবাইল ফোনটা বন্ধ দেখায়। মণিষা ভেবেছেন হয়তো জরুরি কোনো কাজে ব্যস্ত, তাই ফোন বন্ধ। এভাবে দুপুর গড়িয়ে বিকাল হয়ে গেলে মণিষা একটু চিন্তিত হয়ে পড়েন। ফোন করে জনির পরিচিতদের কাছে খোঁজ জানতে চান। কেউ তার হদিস দিতে পারেন না।
এদিকে মণিষার শরীরের অবস্থাও তেমন ভালো না। শীতের দিনের সংক্ষিপ্ত বিকাল ফুরিয়ে দ্রুতই সন্ধ্যা নেমে আসছে আর তার মনে বাড়ছে অস্থিরতা। তিনি অবশেষে বাসা থেকে বের হয়ে একটা রিকশা নিয়ে জেলগেইটে গেলেন। সেখানে আশপাশের সবাইকে জিজ্ঞাসা করলেন, এখান থেকে কাউকে আটক করা হয়েছে কি না। জনির চেহারার বিবরণ দিয়ে জানতে চাইলেন এমন কাউকে দেখেছেন কি না। কেউ কিছু বলতে পারলেন না। এভাবে শীতের সন্ধ্যায় জেলগেইট এলাকা ফাঁকা হয়ে যায়। অসুস্থ্ মণিষা ক্লান্ত ও অস্থির টেনশন নিয়ে বাসায় ফেরেন। আত্মীয়রা সবাই সান্ত্বনা দিতে থাকেন। কিন্তু তার মনের অস্থিরতা কমে না। পরে রাতে জানতে পারেন জনি ও মঈনকে নাজিমুদ্দিন রোড থেকে আটক করা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে খিলগাও থানায় গিয়ে হাজির হন তিনি। থানা থেকে জানানো হয়, এমন কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। পরে আবার বাসায় ফিরে আসেন। এভাবে রাত কেটে প্রায় ভোর ৪টার দিকে মণিষার মোবাইল ফোনে একটি কল আসে। জনির রাজনৈতিক সহচর মঈনের বড় ভাই ফোনে বলেন, ‘জনি ও মঈনকে পুলিশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এসেছে। জনিকে হয়তো একটু মারধর করা হয়েছে। টেনশন কইরো না। তুমি পরে আসো। এখন কাউকে দেখা করতে দিচ্ছে না। এসে লাভ নেই।’ কিন্তু কোনো নিষেধ-বারণ তাকে বিরত রাখতে পারেনি। তিনি সকালেই ঢাকা মেডিকেল কলেজর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে হাজির হন। কর্তব্যরত ডাক্তার প্রথমে তাকে বসতে বলে পানি খেতে দেন। জনির সঙ্গে তিনি দেখা করতে চাইলে ডাক্তার কিছু না বলে সামনে থেকে চলে যান। পাশ থেকে কে যেন বলে ওঠেন- মর্গে যান, মর্গে আছে। মণিষার মাথায় তখন আকাশ ভেঙে পড়ে। কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না। চারপাশটা ঘুরতে থাকে। সব যেন ঝাপসা দেখছেন। তিনি তখন ৭ মাসের সন্তান নহরকে পেটে ধরে আছেন। এর কারণে তার শরীরের অবস্থাও ভালো নয়। আত্মীয়রা তাকে নিয়ে চলে আসেন।
ঘটনা ততক্ষণে মিডিয়ায় চাউর হয়ে যায়। যথারীতি মিডিয়ার খবরে বলা হয়, আটক জনিকে সঙ্গে নিয়ে ডিবি অভিযানে বের হলে ভোরে ‘ক্রসফায়ার’-এ খিলগাঁও জোড়পুকুর মাঠে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন তিনি। পরে খিলগাঁও থানা পুলিশের একটি ভ্যানে তার লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ময়নাতদন্তের জন্য। খবর শুনে অসুস্থ মণিষা ছুটে যান জোড়পুকুর মাঠে। মাঠের কুয়াশায় তখন প্রিয়তম স্বামীর রক্তে মাখামাখি।
কেন হত্যা করা হলো জনিকে
যতবারই ওই প্রশ্নটি করা হয়েছে, মণিষাও হতবাক হয়ে ভেবেছেন- কেন হত্যা করা হলো জনিকে? তিনি কোনো উত্তর খুঁজে পাননি। জনি খিলগাঁও এলাকায় পরিচিত মুখ। আওয়ামী লীগ-বিএনপির বাইরেও মহল্লার ছেলে হিসেবে বড়দের আদরের ও ছোটদের শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন তিনি। কেন তাকে হত্যা করা হল? তার নামে তো কোনোদিন ক্যাডার রাজনীতি করার অভিযোগ পাওয়া যায়নি। মহল্লার যে কোনো সমস্যায় ডাকলে তাকে পাওয়া যেত। মণিষার মনে আজও প্রশ্ন জাগে, রাজনীতি করতে চাওয়া কি অপরাধ? তিনি বলেন, ‘একটি দলের পছন্দ না হলেই কি হত্যা করতে হবে? তাও আবার নিষ্ঠুরতার চূড়ান্ত নজির স্থাপন করে হত্যা করতে হবে? এই নির্মমতার বর্ণনা দিতে গিয়ে তার চোখ বার বার ভিজে যাচ্ছিল। জনির শরীরে ছিল ১৮টি গুলি। এর মধ্যে ১৭টি বুকে আর ১টি হাতে। একটা নিরস্ত্র মানুষকে মারতে ১৮টি গুলি খরচ করতে হয়েছে! কী নির্মম ছিল ঘাতকের পাশবিকতা। ওই হত্যাকাণ্ডটিকে যখনই ক্রসফায়ার বলে আখ্যায়িত করার চেষ্টা করা হয়েছে তখনই প্রতিবাদ করেছেন মণিষা- ‘এটা কোনো ক্রসফায়ার নয়, এটি হত্যা। এটি রাষ্ট্রের রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড।’
কোনো যোগসাজশ বা শত্রুতা থেকে করানো হয়েছে কি না- খোঁজ নিয়ে এমন কোনো কারণের কথাও জানা যায়নি। তবে অনেকে বলেন, জনির জনপ্রিয়তা একটা কারণ হতে পারে।
জনি হত্যার এই তিন বছর পর তার রাজনৈতিক সহচরদের মনে হচ্ছে, তাকে হত্যা করার একটি কারণ হয়তো তিনি থাকা অবস্থায় এই এলাকায় বিএনপি ও ছাত্রদলের যে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি খুব সফলভাবে পালন করা সম্ভব হতো।
হত্যার কারণ জানার জন্য জনির মা নিলুফার পারভীন ও মনীষা সব জায়গায় কথা বলেছেন। তার সঙ্গে আটক হওয়া মঈনকেও জিজ্ঞাসা করে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। মঈন জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর নিজের জীবনে নিরাপত্তার কথা ভেবেই হয়তো জনির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রেখেছেন।
এমন পরিণতি শুধু খিলগাঁওয়ের স্থানীয় ব্যবসায়ী ইয়াকুব আলীর সন্তান জনির ক্ষেত্রেই নয়। মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয়েছে, ২০০১ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ২ হাজার ৯৮৬ নাগরিককে বিনা বিচারে হত্যা করা হয়েছে। গত দশ বছরে নিহতদের মধ্যে সিংহভাগই বিরেধীদলীয় রাজনৈতিক মতের অনুসারী। এটি সরাসরি সংবিধানের লঙ্ঘন। সংবিধানের ৩২ নম্বর ধারায় পরিষ্করভাবে নাগরিকের জীবনের নিরাপত্তা বিধান ও আইনের সহায়তা লাভের অধিকারের কথা বলা হয়েছে। অথচ ক্রসফায়ার চলছে আর প্রতিদিনই একই গৎবাঁধা খবর মিডিয়ায় প্রকাশ হচ্ছে।
মণিষার সংগ্রাম
এই ঘটনার পর মিডিয়ায় খবর হয়। মণিষাও সোচ্চার হয়ে ওঠেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখিও করেন। যথারীতি ফল পাওয়া যায় না। তবে এর মাধ্যমে তার কপালে জোটে হুমকি। শোকার্ত গর্ভবতী অসুস্থ মণিষাকে বিভিন্ন নম্বর থেকে হুমকি দেয়া হয়। পেটের সন্তান ও নিজের জীবন নিয়ে তিনি আরো ভীত হয়ে পড়েন। আত্মীয়স্বজন ও তিনি সবাই চুপ হয়ে যান। ওই শোকের সময়ই কোলে আসে তাঁদের ভালোবাসার ধন ফুটফুটে পুত্র নাদিভুজ্জামান নহর। ছেলের নামটিও রেখেছিলেন জনি। নাদিভ মানে সৌভাগ্যের সংবাদ আর নহর মানে প্রবাহ। জনি বলতেন, এই সন্তান হবে আমাদের জন্য সুসংবাদের প্রবাহ। জনি ও মণিষার প্রেমের বিয়ে। এক বছর প্রেম, এরপর বিয়ে। আর সাত মাসের সন্তান পেটে থাকতেই বিধবা।
অন্যদিকে জনি পরিবারের বড় ছেলে ছিল। দুই ভাই ও এক বোনের সংসারে নিজ থেকেই সবার দায়িত্ব নিজের কাধে তুলে নিতেন তিনি। আর বড় ছেলের সব গুণই যেন প্রোথিত ছিল তার মধ্যে। ভাই-বোন, মা-বাবা ও স্ত্রী- সবার প্রতি তার দায়িত্ব তিনি কখনো ভুলতেন না। পরিবারের সবকিছুতেই তিনি ছিলন অপরিহার্য। তাকে ছাড়া পরিবারটি কোনোভাবেই দৈনন্দিন জীবনে মানিয়ে নিতে পারতো না। ওই পরিবারের মূল হালটি হারানোর পর পরিবারের অবস্থা কেমন হয় তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এরই মধ্যে শুরু হয় মণিষার জীবনযুদ্ধ। একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরিতে ঢুকে পড়েন তিনি। যেই মণিষাকে একটু কষ্টও করতে দিতে চাইতেন না জনি, সব সময় আগলে রাখতেন- তাকেই নেমে পড়তে হয় কঠিন বাস্তবতার মধ্যে। অফিসে যাওয়া-আসার পথে সব সময় আতঙ্কিত থাকেন তিনি। কয়েকবার তাকে রিকশা থামিয়ে হুমকি দেয়া হয়। বার বার মনে করিয়ে দেয়া হয়, শোক নিয়েই তাকে বাঁচতে হবে। মণিষা ব্যস্ত চাকরি আর সব সময়ের শোকটিকে সঙ্গী করে সন্তানের জন্য এখনো জীবনযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন।
পিতৃত্বের ছায়াহীন নহরের পৃথিবী
নহর তখন তার মায়ের পেটে। ৭ মাস ধরে দুনিয়ায় আসার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। তখনই তার বাবা জনিকে নির্মমভাবে নিহত হতে হয়। অথচ ওই ছেলেকে নিয়ে জনির স্বপ্নের যেন শেষই ছিল না। ছেলেকে ঘিরে সব স্বপ্ন ফেলে তিনি দুনিয়া থেকে চলে গেলেও মণিষার স্মৃতি তো মুছে যাওয়ার নয়। তাই সময় পেলেই বাবার গল্পে মাতিয়ে রাখেন। ছেলে নহর মায়ের কাছে বাবার গল্প শুনতে শুনতে বাবার একটা রূপকল্প নিজের মনে গড়ে নিয়েছে। ছেলে জন্ম নিয়েই দেখে বাবা নেই। কথা বলতে শেখার সময় বাবার সঙ্গে নহরকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়েছে। তিন বছরে পা দেয়া শিশু নহর এখনো বুঝতে পারে না, এটি কেবল একটি ছবি। তার বাবা কোনোদিন আর ফিরে আসবে না। বাবা কোথায়, বাবা কোথায় বলতে বলতে সে যখন মাকে অস্থির করে তোলে তখন ছেলেকে সান্ত্বনা দেয়ার জন্য মণিষা বলেন, বাবা আল্লাহর কাছে আছে। আল্লাহ তোমার বাবাকে অনেক ভালোবাসেন। তাই ওনার কাছে নিয়ে গেছেন। শিশু নহর কিছুই বুঝে উঠতে পারে না। তুফান বয়ে যায় মণিষার মনে।
মণিষা আজও বুঝে উঠতে পারেন না একদিন কী করে ওই নির্মমতার কথা ছেলের কাছে বলবেন! একটি দেশে তার নিরপরাধ বাবাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ছেলে বড় হলে এই দেশের আইন, পুলিশ, র্যাব, আদালত, রাজনীতি নিয়ে কী ভাববে? এসব ভাবনা মণিষাকে ভাবিয়ে তোলে।
শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করেন তামান্না। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “যেহেতু সন্তান গর্ভে থাকা অবস্থায় মাকে কঠিন অবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে সেহেতু তা শিশুর মানসিক বিকাশে প্রভাব ফেলতে পারে। মায়ের ডিপ্রেশন, মানসিক চাপ- এগুলো সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলে। তাছাড়া ওই শিশু যখন বড় হয়ে শুনবে বিনাবিচারে তার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে তখন তার মধ্যে এক ধরণের ক্ষোভ এবং সমাজ ও জীবনের প্রতি বিরুদ্ধ-বিক্ষুব্ধ ভাব জন্ম দিতে পারে। তাই তাকে বিশেষ ব্যবস্থায় লালন-পালনের ওপর তিনি গুরুত্ব দেন তিনি।”
অবশ্য ফুটফুটে শিশু নহরের প্রতি এলকাবাসী, আত্মীয়স্বজন, এমনকি খিলগাঁও এলাকার জনির রাজনৈতিক সহকর্মীরা সব সময়ই খেয়াল রাখেন। নহরের এক মাস পূর্ণ হওয়ার দিন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া একটি নবজাতকের যা যা দরকার- সব পাঠিয়েছিলেন।তিনি মাঝে মধ্যেই খোঁজ নেন নহর ও তার পরিবারের।
মণিষা এতো কঠিন সময়ে সবার ওই মমতাকে অনুপ্রেরণা হিসেবে পেয়েছেন। তিনি এখন শুধু চিন্তা করেন ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে। ছেলেকে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলাই তার জীবনের এক মাত্র লক্ষ্য। ছেলেই তার একমাত্র জগৎ। মণিষা ছেলেকে রেখে অফিসে গেলে নহরের মনে হয়, মা অফিসে, বাবা থাকলে তো তার সঙ্গে খেলতে পারতাম। আমাকে কখনো একা থাকতে হতো না। এ মাসের শুরুর দিকে একদিন নহর অফিসে ফোন করে মাকে বলে, মাম্মি, আল্লাহকে বলো বাবাকে আমার কাছে পাঠিয়ে দিতে। বাবার সঙ্গে স্কুলে যাবো, খেলবো। কাজের ব্যস্ততার মধ্যে মণিষা কান্না চেপে ছেলেকে সান্ত্বনা দেন- বাবা আল্লাহর কাছে ভালো আছেন। আল্লাহ আমাদের কম ভালোবাসেন তো, তাই আমাদের নেন না। আল্লাহ বাবাকে বেশি ভালবাসেন, তাই নিয়ে গেছেন।আল্লাহর কাছে তোমার বাবা অনেক ভালো আছেন।
সম্মৃদ্ধ জাতি গঠনের জন্য চাই উন্নত চিন্তা। গনতান্ত্রিক দেশ ও সমৃদ্ধ জাতি গঠনে শুধু তথ্যযুদ্ধ এবং ইস্যু দিয়ে ইস্যু চাপা দেয়া নয়, দরকার মননশীল সাংবাদিকতা। একতরফা ভাবনা বা মতের প্রতিফলনের বাইরে সত্য ও প্রজ্ঞার সন্নিবেশ ঘটাতে বিশ্লেষণী সাংবাদিকতার কোন বিকল্প নেই। কিন্তু এই উদ্যোগ আপনাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া সম্ভব নয়। ডোনেট করুন এবং বুদ্ধিবৃত্তিক জাতিগঠনের গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অংশীদার হোন।
মোবাইল ব্যাংকিংঃ Bkash & Nagad (personal): 01677014094
https://paypal.me/jobanmedia