Joban Magazineইরান: নয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ও প্রতিক্রিয়া

ইরান: নয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ও প্রতিক্রিয়া

ইরানের ত্রয়োদশ প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচন এমন একটা সময়ে হয়ে গেল যখন ইসরায়েলি তৎপড়তার বিরুদ্ধে হামাসের  প্রতিরোধের খবর বিশ্বজুড়ে আগের চেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে। অন্যদিকে পরির্বতন এসেছে ইসরায়েলি রাজনীতিতেও।  নানান অপরাধের দায় নিয়ে নেতানেয়াহু বিদায় নিয়েছে। আরো কট্টর ও চরমপন্থী নাপতালি বেনেট দখলদার ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট পদে বসতে যাচ্ছে। প্রেসিডেন্ট আসাদ ক্ষমতায় বসেই নতুন মেয়াদে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হলেন অথচ তাঁর সিরিয়ার ক্ষমতায় থাকার কথা না এমনকি জীবিত থাকারই কথা না। প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হুসেন অথবা মুয়াম্মার গাদ্দাফীর মত ভাগ্য বরণ আকাঙ্ক্ষিত ছিলো। ইয়েমেন ও আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্যদের বিদায় এবং বিন সালমানের ইরানের প্রতি রাজনৈতিক মৈত্রীর হাত বাড়ানোর মত বিস্ময়কর ঘটনাগুলো যখন ঘটছে, ঠিক এমন সময়েই ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন আয়াতুল্লাহ ইব্রাহিমি রায়িসি।

পাঠকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, এতসব ঘটনার সাথে ইরানের নির্বাচনের সম্পর্ক কী?  উল্টোদিক থেকে শুরু করি। সৌদি আরব কতটা নির্মোহ রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে ইরানের প্রতি মিত্রতার হাত বাড়িয়েছে সেটা বুঝতে নয়া প্রেসিডেন্টের সময়কালের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

পশ্চিমা মিডিয়াতে যে ধরণের ভাষ্য পাওয়া যাচ্ছে তাতে দেখা যাচ্ছে, সৌদি আরবের হাত বাড়ানোর প্রভাবে অন্তত একজন উদার ও সংস্কারপন্থী ব্যক্তির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা নষ্ট হয়েছে। ইরানের ‘গার্ডিয়ান কাউন্সিল’ এই নির্বাচনে ইব্রাহিমি রায়িসির মতো একজন কট্টরপন্থীকে জেতাতে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে অনেকটা ম্যানিপুলেট করেছেন বলে তাদের ভাষ্যতে উঠে আসছে। কিন্তু তারা তাদের বেলায় এই ধরণের ঘটনায় অনেক সময় যেটা বলে থাকে যেমন, “গনতন্ত্রের প্রয়োজনে বা স্বার্থে” এমনটা করা হয়েছে। এবার এই নির্বাচন নিয়ে কিন্তু তারা সেভাবে বলছেনা যে, “ইসলামী বিপ্লবকে সমুন্নত” রাখতেই গার্ডিয়ান কাউন্সিল কেবল তাদের প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব পালন করেছে। সৌদি আরব যদি পশ্চিমা গণমাধ্যমের নির্মিত এইসব কল্পিত বয়ান বিশ্বাস করে এবং এই কট্টরপন্থী প্রেসিডেন্টকে নতুন সংকট মনে করে পিছিয়ে যায় তাহলে, পশ্চিমাদের উদ্দেশ্য আরও পরিষ্কার হবে।

ইরানের প্রক্সি যোদ্ধারা মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় সবগুলো এজেন্ডাতে এখনো পর্যন্ত মোটাদাগে সফল বলা যায়। এরকম পরিস্থিতিতে একজন তুখোড় বিপ্লবী প্রেসিডেন্টই কেবল এই গতিকে আরো ত্বরান্বিত করতে পারেন বলে গার্ডিয়ান কাউন্সিল মনে করেন। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন গার্ডিয়ান কাউন্সিলের ছয়জন ধর্মবিদ এবং ছয়জন আইনবিদের কেউ পারিবারিক পরিচয়ে আসেন না তাদেরও নির্বাচিত হয়ে আসতে হয় ৮ বছরের জন্য। আর সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা নির্বাচিত হন গার্ডিয়ান কাউন্সিল দ্বারা। প্রেসিডেন্ট ব্যক্তিগতভাবে কিছু সিদ্ধান্ত নিতে পারলেও কাজ করতে হয় সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা খামেনীর সাথে সমন্বয় করে। শুক্রবারের নির্বাচনে বিজয়ী প্রেসিডেন্ট আয়তুল্লাহ ইব্রাহিম রায়িসির কর্মকান্ড শুরু হবে আগষ্ট থেকে।

তিনি পশ্চিমের ভাষায় (Ultra conservative) রক্ষণশীল। এজন্যই তিনি রক্ষণশীল যে ইরানের পশ্চিমের অন্যায়ের  বিরোধীতা আরো কঠোর ভাবে তিনি চর্চা করবেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা নিদেনপক্ষে পশ্চিমের প্রতি তুলনামূলক নমনীয় একজন ইরানি প্রেসিডেন্ট আশা করেন। অথচ এবারের নির্বাচনে যিনি বিজয়ী হয়েছেন তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমেদিনেজাদের মত স্পষ্ঠভাষী। এছাড়া ইরানের নির্বাচনের ধারাবাহিকতা খেয়াল করলে দেখা যায় ইসরাইলের  উগ্রপন্থী প্রেসিডেন্টদের বিরুদ্ধে  একজন লিবারেল প্রেসিডেন্ট আসুক ইরানি জনগণও সেটা আশা করে না।

কে এই আয়াতুল্লাহ ইব্রাহিমি রায়িসি :

জনাব রায়িসি জন্মগ্রহন করেন মাশহাদ শহরে ১৯৬০ সালের ডিসেম্বরে। পাঁচ বছর বয়সে তিনি পিতৃহারা হন। শিক্ষাজীবন শুরু করেন জাভেদিয়া প্রাইমারী স্কুলে। এরপর নওয়াব স্কুল, মুসাভিনেজাদ স্কুল হয়ে পৌছান ইরানের ধর্মীয় নগরী কোম এ। তিনি মাস্টার্স করেন প্রাইভেট ল তে শহীদ মোতাহারী ইউনিভার্সিটি থেকে। ডক্টরেট করেন জুরিসপ্রুডেন্স অব ল তে। ডক্টরেটের এনটাইটেল ছিলো “কনফ্লিক্ট অব প্রিন্সিপাল এন্ড এপেয়ারেন্স ইন জুরিসপ্রুডেন্স এন্ড ডিফেন্ডেন্ড ল” (conflict of principle & appearance in jurisprudence & defended law)।

ইসলামিক বিপ্লবে শাহের পতনের ঠিক পরপর মাত্র ১৯ বছর বয়সে ১৯৮০ সালে তিনি কারাজ শহরের জুডিশিয়াল অফিসে প্রসিকিউটর হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৮২ সালে হামেদান শহরের প্রসিকিউটর হন। এখানে থাকেন তিন বছর।

ডঃ জামিলেহ সাদেত আলম আল হুদার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ১৯৮৪ সালে ২৩ বছর বয়সে। তাঁর স্ত্রী তেহরানের শহীদ বেহেশতি ইউনিভার্সিটির ফিলোসোফি অব এডুকেশনাল সায়েন্সের এসোসিয়েট প্রফেসর।

জনাব আয়তুল্লাহ ইব্রাহিম রায়িসি জাতীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। এরমধ্যে রয়েছে সুপ্রিম কাউন্সিল অব সাইবার স্পেস, সুপ্রিম ওয়েল কাউন্সিল, ইস্ট এন্ড ওয়েস্ট ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল, সুপ্রিম কাউন্সিল অব মানি এন্ড ক্রেডিট, এন্টি ইকোনোমিক করাপশন হেডকোয়ার্টার, এন্টি নার্কোটিক অফিস। তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণকালীন অবস্থায় ছিলেন হেড অব জুডিশিয়ারি অব ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান।

সাম্রাজ্যবাদের পৃষ্ঠপোষকতা কোন মাযহাবের চাদরে আটকে থাকেনা। মাজহাবগত বিভাজনকে সামনে নিয়ে কথা বলা  রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডার পরিচিত বয়ান।  রায়িসির আভ্যন্তরীন মূল চ্যালেঞ্জ হলো রাষ্ট্রের তথ্য রক্ষা, আভ্যন্তরীন সংকট মোচন, উন্নয়ন। তবে ইরানের প্রেসিডেন্টদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হয় আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে।

 

বৈশ্বিক বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সামিটে অংশগ্রহণ করেছেন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে নাইজেরিয়ায় হিউম্যান রাইটস, এন্টি করাপশন সামিট ইন আফ্রিকা, হেলথ সামিট রাশিয়া, হিউম্যান রাইটস সামিট পাকিস্তান, রোল অব আশুরা ইন সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট, তুরষ্ক এছাড়া জেনেভায় জাতিসংঘের প্রোগ্রামে তিনি ইরানের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ব্যাপক পড়াশোনা,বহু ধরনের দায়িত্ব পালন, বিচিত্র অভিজ্ঞতা আর বয়সের সম্মিলনে অভিজ্ঞ এক ব্যক্তি আয়াতুল্লাহ ইব্রাহিম রায়িসি নির্বাচিত হওয়ার পরে বিভিন্ন দেশ থেকে অভিনন্দন আসতে থাকে।

এর মধ্যে প্রথমেই হামাসের কথা উল্লেখ করতে হয়। হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া তাঁর অভিনন্দন বার্তায় বলেন,

“We in the Hamas Islamic Resistance Movement in Palestine sincerely congratulate Ayatollah Khamenei, the Leader of the Revolution, and the Iranian people on the successful holding of the presidential election in which the Iranian people elected Seyyed Ibrahim Raeisi as the new President.”

গত মে মাসে যখন হামাসের রকেট  ইসরাইলের অভ্যন্তরে হামলা করে তখন রায়িসি হামাসকে অভিনন্দন ও বিশ্ববাসীকে হামাসের পাশে থাকার অনুরোধ জানান। একই সাথে ইসরাইল বিরোধী সকল রেজিস্টেন্স মুভমেন্টের তিনি ভূয়সী প্রসংশা করেন।

হামাস ছাড়াও অভিনন্দন জানিয়েছে – সুপ্রিম পলিটিক্যাল কাউন্সিল অব ইয়েমেন,

ইরাকি উইজডম মুভমেন্ট, ইরাকি রেজিস্টেন্স গ্রুপ, ইসলামিক জিহাদ মুভমেন্ট, হরকত হিজবুল্লাহ আল নুজাবা।

রাষ্ট্র প্রধানদের মধ্যে রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিন,পাকিস্তানের ইমরান খান, তুরষ্কের এরদোয়ান, কাতারের আমির,কুয়েতের আমির, কিউবা, আজারবাইজান, আর্মেনিয়া, ওমান, লেবানন, ইরাক, সিরিয়ার আসাদ প্রমুখ।


নব্বইয়ের দশকে খামেনি বলেন, একটি সফল বিপ্লবের জন্য পাঁচটি ধাপ অতিক্রম করতে হয়।

Supreme Leader Ali Khamenei launched an initiative to increase the ideological indoctrination of Iran’s younger generation. This strategic effort, the “Second Step of the Revolution,” is part of a five-step vision that started with the 1979 Revolution and ends with the formation of an Iran-led transnational pan-Islamic civilization. Khamenei views the second step as his generational contribution to the revolutionary cause. He envisions the transformation of the world order and the destruction of the Western states paradigm through a process spanning five generations.

পাঁচটি জেনারেশনকে ইরানের ইসলামী বিপ্লবের চেতনার ভিতর দিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথকে ত্বরান্বিত করতেই গার্ডিয়ান্স কাউন্সিল পাঁচশতাধিক প্রতিযোগীর ভেতর থেকে চুড়ান্ত পর্বের জন্য সাতজনকে উপযুক্ত মনে করেন। উল্লেখ করা প্রয়োজন জনাব রায়িসি একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন। ইরানের ভেতরে সংস্কারপন্থীদের দেখা হয় বিপ্লব বিরোধীর জায়গা থেকে। ইতিপূর্বে সংস্কারপন্থা লালিত বিভিন্ন এজেন্ট দিয়ে মোসাদ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের হত্যা করার অনেক প্রমানও সরকারের কাছে আছে। এদের অনেকে দেশ থেকে পালিয়েছে, অনেকের বিচার হয়েছে। যাদের দেশদ্রোহিতার জন্য বিচার হয়েছে তাদেরকে পশ্চিমা গনমাধ্যম প্রচার করেছে মানবাধিকারের লঙ্ঘন হিসেবে। সম্প্রতি সাবেক মোসাদ প্রধানের এক চাঞ্চল্যকর সাক্ষাৎকারে অনেক সন্দেহ দূরীভুত হয়েছে। নাতাঞ্জের সেন্ট্রিফিউজ কোথায় আছে সেটাও তিনি বলতে পারেন! এই কাজে তাকে সহযোগীতা করেছে বিপ্লব বিরোধী ইরানিরা। এরাও শিয়া মতের অনুসারী। সাম্রাজ্যবাদের পৃষ্ঠপোষকতা কোন মাযহাবের চাদরে আটকে থাকেনা। মাজহাবগত বিভাজনকে সামনে নিয়ে কথা বলা  রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডার পরিচিত বয়ান।  রায়িসির আভ্যন্তরীন মূল চ্যালেঞ্জ হলো রাষ্ট্রের তথ্য রক্ষা, আভ্যন্তরীন সংকট মোচন, উন্নয়ন। তবে ইরানের প্রেসিডেন্টদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হয় আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্রদের ব্যস্ত রাখতে মধ্যপ্রাচ্যের প্রক্সিযোদ্ধাদের সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতা বাড়ানোও একটি জরুরী বিষয় তাদের জন্য। সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক বানিজ্যের ক্ষেত্রে নতুন প্রেসিডেন্ট চীন, রাশিয়া ও পাকিস্তানের সাথে আরো গভীর ও বিশ্বস্ত  সম্পর্কের দিকে আগাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। পরমানু চুক্তির পুনরাবৃত্তি না হলে তাঁর আমলে পূর্ণ মাত্রার ইউরোনিয়াম সমৃদ্ধকরনের আশংকা করছে ইইউ।

বর্তমান বৈশ্বিক প্যারাডাইম ভেঙ্গে নতুন গ্লোবার অর্ডার নির্মান এবং ইসলামী বিপ্লবের চেতনাকে সাড়া দুনিয়ায় ছড়িয়ে দেয়াই বিপ্লবের লক্ষ্য। ধারণা করা যায় সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে রায়িসি সামনের দিকে অগ্রসর হবেন। লেবানন আর সিরিয়ায় ইরানপন্থী গ্রুপকে আরো শক্তিশালী করা, ইয়েমেনের যুদ্ধে ইয়েমেনকে সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির সম্ভাবনাকে আমলে নিচ্ছে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকগণ।

রায়িসির আগামী চার বছরে চীন ও রাশিয়ার হাত ধরে অল্টারনেটিভ গ্লোবাল অর্ডারকে ট্রেড পলিসি দিয়ে এস্টাবলিশ করার সমস্ত আয়োজন বর্তমান প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানী করে রেখেছেন। তারই ধারাবাহিকতা রায়িসি আরেকটু বেশি উদ্দ্যম নিয়ে করবেন। পার্থক্য হয়তো এতটুকুই হবে।

 

সম্মৃদ্ধ জাতি গঠনের জন্য চাই উন্নত চিন্তা। গনতান্ত্রিক দেশ ও সমৃদ্ধ জাতি গঠনে শুধু তথ্যযুদ্ধ এবং ইস্যু দিয়ে ইস্যু চাপা দেয়া নয়, দরকার মননশীল সাংবাদিকতা। একতরফা ভাবনা বা মতের প্রতিফলনের বাইরে সত্য ও প্রজ্ঞার সন্নিবেশ ঘটাতে বিশ্লেষণী সাংবাদিকতার কোন বিকল্প নেই। কিন্তু এই উদ্যোগ আপনাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া সম্ভব নয়। ডোনেট করুন এবং বুদ্ধিবৃত্তিক জাতিগঠনের গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অংশীদার হোন।

মোবাইল ব্যাংকিংঃ Bkash & Nagad (personal): 01677014094
Paypal https://paypal.me/jobanmedia

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

নাম *